আমরা প্রায়শই বলে থাকি মিটি-মিটি তারা। কিন্তু কখনোকি ভেবে দেখেছেন, কেন তারারা এই রকম মিটি-মিটি করে জ্বলে? কিংবা আসলেই কি এরা এরকম মিটিমিটি জ্বলে, নাকি এটি কোন চোখের ভুল?
আসলে লক্ষ্য করলে দেখেবেন, তারাদের থেকে এক ধরনের ছটা বের হয়। এবং ৬ টি বিভিন্ন দিক থেকে এদের তন্তুগুলো প্রসারিত। কিন্তু আসল কথা হল ,দূরবর্তী যেকোনো আলোক-রশ্মি থেকেই আমরা এ রকম ছটা দেখে থাকি। আসলে তারা থেকে বা কোন আলোক রশ্নি থেকেই এই রকম ছটা বের হয় না। এই রকম ছটা দেখার কারন আমাদের চোখ নিজেই। যদি আমাদের চোখের গঠনের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব, আমাদের চোখটি গঠিত এক ধরনের কেলাসিত লেন্স দ্বারা এবং ছয়টি দিক থেকে বিভিন্ন তন্তু দ্বারা প্রসারিত। আর এই কেলাসিত লেন্সের গঠন মোটেও স্বচ্ছ নয়। তাই দূর থেকে যখন আমাদের চোখে এই রকম কোন আলোর বিন্দু এসে পড়ে তখন কেলাসিত লেন্সের অরিয় প্রতিফলনের ফলে আমরা এই ছয় বিন্দুর তারকা রুপ দেখি। তার মানে তারারা তারার মত ছয় কোনাচে নয়। আর এই ছয় কোনাচে আলো যখন আমাদের বায়ুমণ্ডলের অসম মাধ্যমঃ বিভিন্ন মানের তাপ,ঘনত্ব,গ্যাসীয় স্তর এর মধ্য দিয়ে আসে তখন তা আলোর প্রতিসরনের কারনে সোজা পথ থেকে দূরে সরে কখনো অভিসারী আবার কখনো প্রতিসারী আলোক বিন্দুতে পরিনত হয়।তার ফলে বার বার আলোর উজ্জ্বলতার রদবদল ঘটে।
তাই দূর থেকে আমাদের কাছে মনে হয় তারারা যেন মিটিমিটি জ্বলছে। তবে যাই হোক না কেন, এটি প্রকৃতিরই এক কারসাজী। আর অবশ্যই অনেক মনমুগ্ধকর তো বটেই।
ওহ!! তাহলে ছোট বেলায় তারা আঁকতে গিয়ে তারার যে সিম্বল (✶) আঁকতাম, তার idea আলোর এই ছয় দিকে বিস্তৃত রশ্মি থেকে এসেছে?
আগে এভাবে ভেবে দেখিনি!!
[…] উৎস ঃ এখানে ক্লিক করুন … […]