আইফোন (iPhone), বিশ্বের কোটি কোটি মোবাইল ব্যবহারকারীর কাছে জনপ্রিয় একটি নাম। মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের এর একটি পণ্য আইফোন। ২০০৭ সালে সাবেক অ্যাপেল সিইও জনপ্রিয় প্রযুক্তিবিদ স্টিভ জবস (Steve Jobs) এর হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় আইফোন এর। এর ধারাবাহিকতায় আসতে থাকে আইফোনের নতুন নতুন মডেলের স্মার্টফোন।
প্রতিবছর মোবাইল ব্যবহারকারীরা অধীর অপেক্ষায় থাকে অ্যাপলের নতুন আইফোনের জন্য। এর ধারাবাহিকতায় আইফোন কর্তৃপক্ষ মোবাইলের নতুন নতুন চমক নিয়ে হাজির হয়।
এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি। ২০১৭ সাল ছিল অ্যাপেল আইফোনের দশ বছরপূর্তি। এই দশবছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য অ্যাপল মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য চমক নিয়ে হাজির হয়েছিল। কেমন হবে নতুন আইফোন? কি হবে নতুন আইফোনের নাম! এ নিয়ে ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা।
পরবর্তীতে ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাপল পার্ক ক্যাম্পাসের স্টিভ জবস মিলনায়তনে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আইফোন ৮ (iPhone 8) ও আইফোন ৮ প্লাস (iPhone 8 Plus) সঙ্গে আইফোন এক্স (iPhone X) উন্মোচন করেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক।
বলা হয়ে থাকে যে, মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের অন্যতম জনপ্রিয় পণ্য আইফোনের ১০ বছর পূর্তি স্মরণীয় করে রাখতেই নতুন মডেলটির নামকরণ করা হয়েছে iPhone X. কারণ, রোমান সংখ্যায় 'X' মানে 10। এর মূল স্লোগান "Say hello to the future."
আইফোন এক্স (iPhone X) এর ফিচার
আইফোন এক্স (iPhone X) নিয়ে যখন এতই জল্পনা-কল্পনা। চলুন আর দেরি না করে দেখি কি আছে নতুন আইফোনে....
সুপার রেটিনা ডিসপ্লে.....
iPhone X এ রয়েছে 5.8 inch এর ডিসপ্লে যার রেজুলেশন 2436x1135 pixel. অ্যাপলের যেকোনো ফোনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য iPhone X এর। এর প্রতি ইঞ্চিতে এর ঘনত্ব 458 pixel (ppi)। iPhone X এ ব্যবহার করা হয়েছে সুপার রেটিনা ডিসপ্লে (Super Retina Display) যেখানে True Tone technology ব্যবহার করা হয়েছে। যা প্রথম পাওয়া যায় iPad Pro তে। এই হাই ডেফিনেশন ডিসপ্লে (HDR) তে আরো রয়েছে ডলবি ভিশন (Dolby Vision) এবং এইচডিআর-১০ (High Dynamic Range Imaging 10 or HDR-10) এর মত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।
iPhone X ফোনটিতে রয়েছে বিশেষ ধরনের ওএলইডি স্ক্রিন (Organic Light-Emitting Diode-OLED screen)। এই স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা (Brightness of Screen) ও ফেসিয়াল রিকগনিশন (Facial Recognition) যা আগের যেকোনো মডেলের এলসিডি (Liquid Crystal Display-LCD) স্ক্রিন থেকে অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
iPhone X মডেলটির স্ক্রিন এজ টু এজ অর্থাৎ ফোনের দুই কোণ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর কনট্রাস্ট রেশিও 10,00,000:1।
iPhone X এর ওজন 176 গ্রাম। এটি লম্বায় 143.6 mm (5.65 in) প্রস্থে 70.9 mm (2.79 in) এবং উচ্চতা 7.7 mm (0.30 in)। এর 64 জিবি এবং 256 জিবির দুটি ভ্যারিয়েন্ট আবার দুটি রঙে এসেছে- সিলভার এবং স্পেস গ্রে। এর তিনটি মডেল আছে। তা যথাক্রমে---
- A1865 যেখানে Qualcomm modem আছে
- A1901 যেখানে Intel modem আছে
- A1902 যেখানে sold in Japan)
স্টেইনলেস স্টিল বডি এবং পানি-নিরোধক গ্লাস ঃ
চমক হিসেবে আসা iPhone X এর বডি সার্জিকাল-গ্রেড স্টেইনলেস (Surgical‑grade stainless steel) ও মজবুত কাঁচ সমন্বয়ে তৈরি যা ধুলো-ময়লা, পানি নিরোধক। স্ক্রিনটিতে লাগানো হয়েছে অ্যাপল এর তৈরি সবচেয়ে টেকসই গ্লাস।
স্ক্রিনটি ঘিরে রয়েছে অত্যন্ত মসৃণ সার্জিকাল-গ্রেড স্টেইনলেস স্টিলের ব্যান্ড যা মোবাইলের বডিকে অনেক টেকসই করে তোলে। স্ক্রিনটিতে আরও রয়েছে একটি সাত স্তরের কালার প্রসেসিং লেয়ার বা রঙ প্রসেস করার পর্দা এবং একটি রিফ্লেকটিভ অপটিকাল লেয়ার বা আলোর প্রতিফলন পর্দা। iPhone X এর চতুর্দিকের কোণাগুলো মসৃণ।
হোম বাটনহীন স্মার্টফোন.....
iPhone X ফোনে নেই কোনো হোম(Home) বাটন। হোম বাটন সরানোর ফলে আইফোনের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত অর্থাৎ পুরো মোবাইল জুড়ে পর্দা রাখা সম্ভব হয়েছে।
বড় পর্দার কারণে ব্যবহারকারীদের পক্ষে ফোনে ভিডিও দেখা উপভোগ্য ও সহজ হবে। আর ডিভাইসটি চালু করতে স্ক্রিনে ট্যাপ করলেই হবে আর হোম স্ক্রিনে যেতে হলে স্ক্রিনের উপরের দিকে সোয়াইপ করলেই হবে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরবিহীন ফোন....
iPhone X এ কোনো ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর (Finger Print Sensor) বা টাচ আইডি (Touch ID) নেই কিন্তু ফোনটি আনলক (unlock) করার ক্ষেত্রে রয়েছে অত্যাধুনিক ফেইস আনলক সুবিধা। যাকে বলা হয় ফেইস আইডি (Face ID)।
ব্যবহারকারীরা ফোনটিকে মুখের সামনে ধরলে ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহারকারীর মুখের ছবি উঠে যায়। তারপর ফেইস ম্যাপিং, এবং ফেইস রিকগনিশন প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে ছবি ম্যাচ করানো হয়। অতঃপর ছবি ম্যাচ হলেই তারপরই ফোনটি আনলক হবে। এর ভুলের রেশিও 10,00,000:1। এই প্রক্রিয়াটি সংগঠিত হবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে।
অ্যাপলের দাবী করে যে, ডিভাইসের তথ্যের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই ফেইস আইডি যেকোনো ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ ও দ্রুত, এবং নির্ভুলতার হার অনেকগুন বেশি। কিন্তু, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের মাধ্যমে নিখুঁত সুরক্ষা বলয় করা সম্ভব হয় না। যেখানে ফেইস আইডির ক্ষেত্রে প্রতি 50 হাজার জনের মধ্যে একজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেখানে ফেইস আইডি এর মাধ্যমে ভুল ফেইস আইডির মাধ্যমে মিলে যাওয়ার সম্ভবনা 10 লাখে একজন। অর্থাৎ ভুল হওয়ার সম্ভবনা ০ এর কাছাকাছি।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, মানুষের আঙুলের ছাপ কখনো বদলাতে পারে না কিন্তু চেহারা (Changing Face) যেকোনো সময়ে বদলাতে পারে কিন্তু iPhone X এ কিভাবে তা ডিটেক্ট করবে??
অ্যাপেলের দাবি অনুসারে, iPhone X এর মাধ্যমে এতে কোনো অসুবিধা নেই। iPhone X প্রতিদিন তার ব্যবহারকারীর চেহারার পরিবর্তন খেয়াল রাখবে। সেই অনুসারে আপডেট করে সংরক্ষণ করবে। ফলে ব্যবহারকারী চুল বড় করলে, দাঁড়ি গজালে, শেভ করলে, চেহারার পরিবর্তন বা কাটাছিঁড়া ইত্যাদিতে সমস্যা হবে না। iPhone X ঠিকই চিনে নেবে। iPhone X এ এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা দিনে-রাতে সমান ভাবে ব্যবহারকারীকে ডিটেক্ত করতে পারদর্শী। এতে অতিরিক্ত সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে নিউরাল ইঞ্জিন।
ক্যামেরাঃ
বিভিন্ন ধরনের ছবি তোলা যেকোনো মানুষের কাছে অনেক প্রিয়, পাশাপাশি শখেরও বটে। ক্যামেরাতে বিভিন্ন ঢং এর ছবি বা আলোকচিত্র তোলা, হাই রেজুলেশনের ভিডিও করার জন্য আইফোন ব্যবহারকারীদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। বর্তমানে এটি আরও উন্নত ও আধুনিক করা হয়েছে। iPhone X এর সামনের দিকে রয়েছে 7 মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা আর পেছনের দিকে আছে 12 মেগাপিক্সেল ডুয়াল ক্যামেরা। এতে আরও রয়েছে অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (ওআইএস) বা Optical Image Stabilization-OIS সাপোর্ট, ডুয়াল টোন কোয়াড এলইডি ফ্ল্যাশ, 4K ভিডিও রেকর্ডিং, নতুন কোয়াড এলইডি ট্রুটোন ফ্ল্যাশ (Quad LED Truetone Flash), স্লো সিঙ্ক (Slow Sink)। ফ্রন্ট ক্যামেরাটিতে রয়েছে ট্রুডেপথ ক্যামেরা (Truday Depth Camera) যা ফেইসআইডি (Face ID) চেনার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এর পিছনের ক্যামেরা দুটির একটির অ্যাপারচার f/1.8 আর অন্যটির অ্যাপারচার f/2.4।
আইফোনে বিশেষ সুবিধার মধ্যে থাকছে আলো নিয়ন্ত্রন (Light Controlling) ও স্টুডিও লাইটিং (Studio Lighting) এর সব ধরনের সুবিধা। সামনের ও পিছনের দুটি ক্যামেরায় থাকছে পোর্ট্রেট (Portrait) করার সুবিধা। পেছনের ডুয়াল ক্যামেরাকে অনেক বেশি আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় করা হয়েছে যাতে করে ছবি তোলার আগে অবজেক্টের অবস্থা, মোশন যেমন চলন্ত বা স্থির ইত্যাদি বুঝে পেশাদার আলোকচিত্রীদের মতো ছবি তুলতে সক্ষম হয়। আইফোনের ট্রু-ডেপথ ক্যামেরা (TrueDepth Camera) ছবির বিষয়বস্তু আরও বিস্তারিতভাবে ক্যাপচার করতে পারে।
এছাড়া ক্যামেরায় ব্যবহার করা হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Virtual Reality), অগমেন্টেড রিয়েলিটি (Augmented Reality)। এর ফলে বিভিন্ন ছবির মাঝে নতুন কিছু এনিমেশন যোগ করা সহজ হবে।
এসব প্রযুক্তি ব্যবহার এর ফলে ব্যবহারকারীদের কাছে আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে যা বলার অপেক্ষা রাখে না।
নতুন ধরনের চিপসেট, অধিক কর্মক্ষম প্রসেসর:
iPhone X ব্যবহার করা হয়েছে নতুন উদ্ভাবিত এ11 বায়োনিক চিপসেট যেখানে 4.3 বিলিয়ন ট্রানজিস্টর আছে। এর কার্যক্ষমতা অনেক বেশি। ইহা সেকেন্ডে 600 বিলিয়ন কাজ করতে পারে। এতে রয়েছে শক্তিশালী 3 জিবি LPDDR4X র্যাম। এর প্রসেসর ৬৪ বিটের 6 কোর সিপিইউ। যার স্পিড 2.39 গিগাহার্জ। iPhone এর ব্যাটারি টকটাইম 21 ঘন্টা যা আইফোন-7 এর চেয়ে ব্যাটারির স্থায়িত্ব আরো দুই ঘণ্টা বেশি।
এর মিউজিক প্লে 60 ঘন্টা। পুরানো iPhone X এ আইওএস 11 অপারেটিং সিস্টেম (IOS-11 Operating System) ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালের নতুন iPhone X এ আপডেট আইওএস 11 অপারেটিং সিস্টেম (Updated IOS-11 Operating System) ব্যবহার করা হয়েছে।
এটি মার্কিন মিলিটারির তৈরি জিপিএস(Global Positioning System-GPS) সিস্টেম এক্স-বিল্ট-ইন-গ্যালিলিও (Galilio) কে সাপোর্ট করে। এছাড়া এতে ইউরোপিয়ান জিপিএস সিস্টেমকে ব্যবহার করা সম্ভব। iPhone X এর ধারন ক্ষমতা 64 জিবি আর 256 জিবি। এতে কোনো রিমোভাল স্টোরেজ (Removal Storage) বা অতিরিক্ত মেমোরি রাখার বাবস্থা নেই। iPhone X এর ব্যাটারি 3.81 ভোল্ট।
iPhone X এর Models A1865/1902 তে কুয়ালকম (Qualcomm MDM9655) বা স্নাপড্রাগন (Snapdragon X16 LTE) মডেম এবং Model A1901 তে ইন্টেল (Intel XMM 7480) মডেম ব্যবহার করা হয়েছে। এতে কম্পিটেটিভ নেটওয়ার্ক হিসাবে GSM, CDMA2000, EV-DO, HSPA+, LTE, LTE Advanced ব্যবহার করা যায়।
জীবন্ত এনিমেটেড ইমোজিঃ
ইমোজির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত নিয়ে এসেছে iPhone X। আগের আইফোন গুলোতে স্থির আইকন ব্যবহার করা হত। কিন্তু নতুন iPhone X এ ইমোজি হিসাবে স্থির আইকনের পাশাপাশি অ্যানিমেটেড ইমোজি ব্যবহার করা হয়েছে, যাকে আন্টিমোজি (Antimoji) বলা হয়।
এখানে ব্যবহারকারীর ভঙ্গিতে ইমোজি আচরণ করবে। ব্যবহারকারী যেভাবে কথা বলবে, ইমোজিও ঠিক একই ভঙ্গি করবে। শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারী রাগ হলে, ইমোজিও রাগ করবে। ব্যবহারকারী কান্না করলে, ইমোজির ও কান্না করবে। তাই বিষয়টি বেশ মজার হয়ে উঠেছে।
ওয়্যারলেস ইয়ারফোন ও ওয়্যারলেস চার্জিংঃ
iPhone X এর মাধ্যমে ইয়ারফোন(earphone), চার্জিং (charging) এ নবদিগন্ত এসেছে। আগে তারযুক্ত চার্জার আর তারযুক্ত মোবাইল ইয়ারফোন ব্যবহার করা হত। যা অনেক বিরক্তকর তথা অনেক ঝামেলার ও বটে। তাছাড়া ইয়ারফোনের তারের প্যাঁচ খোলা রীতিমতো বিরক্তিকর। অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত চার্জারের ক্যাবল হারিয়ে গেলে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলতে এগিয়ে এসেছে অ্যাপল।
iPhone X এ তার লাগিয়ে এখন আর চার্জ দিতে হবে না, গানও শুনতে জ্যাকপিন (Jack Pin) ডিভাইসে ঢোকাতে হবে না। দুটিই এখন তারহীন প্রযুক্তিতে চলবে। এর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে চার্জার প্যাড (Charger Pad), তারবিহীন ইয়ারফোন (Wireless Earphones)। চার্জারের প্যাডে ফোন রেখে দিলেই আপনাআপনি চার্জ হতে শুরু করবে। যা অনেকটা ঝামেলাবিহীন। কানে শুধু ইয়ারফোনের মাথা দুটি ঢোকালেই হবে। জ্যাকপিন লাগবে না। ফলে যেমন কাজগুলো অনেক সহজ হবে, তেমন নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হবে ব্যবহারকারীরা। সবচেয়ে দারুন বিষয় হল, iPhone X এ 30 মিনিট চার্জে দিয়েই 50 শতাংশ এর বেশি চার্জ করা সম্ভব। তবে চার্জার প্যাড হারালে তা পাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
বিশেষ ফিচারঃ
iPhone X এর বিশেষ কিছু সংযোজন নিম্নরূপঃ
- Notification
iPhone X এর একটি দারুন ফিচার হল নোটিফিকেশন। ব্যবহারকারীরা ডিভাইসের দিকে তাকানোর সাথে সাথে স্ক্রিনে নোটিফিকেশন দেখাবে, ফলে মোবাইলে স্পর্শ না করেই নোটিফিকেশন চেক করা যাবে। শুধুমাত্র ব্যবহারকারী তাকালেই নোটিফিকেশন আসবে, অন্য কেউ মোবাইলের দিকে তাকালে ফেইস আইডির কারণে নোটিফিকেশন দেখা অগ্রাহ্য করবে।
- Smart Stay
iPhone X এর একটি দারুন ফিচার হল Smart Stay। এর মাধ্যমে iPhone X এ কোনো pdf, docs flie ইত্যাদি কিছু পড়ার, তখন ডিসপ্লেতে হুট করে লাইট বন্ধ হবে না। এই প্রযুক্তি iPhone X এ প্রথম ব্যবহার করা হলেও স্যামসাং S3 তে এই প্রযুক্তি প্রথম দেখা যায়, এটাকে Smart Stay বলা হয়।
- Volume
ধরুন আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠার জন্য iPhone X এ অ্যালার্ম দিলেন তা নির্দিষ্ট সময় পর বাজবে। কিন্তু অ্যালার্ম দেখার সময় iPhone X যখন ওপেন করবেন তখন ভলিউম কমে যাবে। ফলে কম ভলিউম এ শব্দ শুনা যাবে।
iPhone X হল বর্তমান প্রযুক্তির নব সংযোজন। অ্যাপলের সিইও টিমোথি ডি কুকের মনে করেন, iPhone X স্মার্টফোনের দুনিয়ায় যুগান্তকারী সৃষ্টি। ঠিক যেমনটা দশ বছর আগে আইফোনের প্রথম মডেলের যাত্রার মাধ্যমে হয়েছিল।
Source: