৫-১০ বছরের মধ্যেই আপনার কম্পিউটারে পেতে পারেন কয়েক লক্ষ গীগা-বাইটের মেমোরিডিস্ক!!!

চমকে উঠার মত কথা! কয়েক লক্ষ গীগা-বাইট মেমোরিডিস্ক কম্পিউটারে। আসলে বাস্তব তথ্যটা আরও চমকানোর মত।কারন সম্প্রতি আই.বি.এম এর গবেষকরা এমন একটি আবিস্কার করেছেন,তা যদি বাজারজাত করা যায় তবে কয়েক লক্ষ গীগা-বাইট মেমোরি আপনার কম্পিউটারে নয় মোবাইল সেটের ছোট মেমোরি কার্ডেও পাবেন।

আসলে মেমোরি ডিস্ক গুলো প্রতি নিয়তি ছোট হচ্ছে।মাত্র ২০-৩০ বছর আগে এক গীগা-বাইট মেমোরি একটি পুরো কক্ষে রাখতেহত আর এখন আমরা কয়েক হাজার গীগা-বাইট মেমোরি আমাদের কম্পিউটারে রাখি। এ আবিস্কারটাও সেই ধারাবাহিকতায় এসেছে।

আই.বি.এম এর গবেষকরা মাত্র ১২টা অনু ব্যবহার করে ১বিট কম্পিউটার মেমোরি জমা করেছেন।বর্তমানে যে সব হার্ডডিস্ক আমরা ব্যবহার করি সেগুলোতে ১বিট জমা করার জন্য প্রায় ১মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ অনুর দরকার।আর এই আবিস্কারটা করতে তারা পদার্থের প্রতি-ফেরোচুম্বকত্ব (Anti-ferromagnetic) ধর্মকে ব্যবহার করেছেন।তারা মাত্র ৯৮টি প্রতিফেরোচুম্বক অনু ব্যবহার করে “THINK” শব্দটির ASCII কোড কম্পিউটার মেমোরিতে জমা করেছেন।মানে তাদের ব্যবহার করা মেমোরি,বর্তমানে ব্যবহৃত মেমোরি থেকে প্রায় ১লক্ষগুন ছোট। এর মানে হল,বর্তমান থেকে প্রায় ১লক্ষগুন মেমোরি ডিস্ক বানানো সময়ের ব্যাপার মাত্র।কিন্তু তার পরও আরও ৫-১০ বছর সময় লাগতে পারে বলা হয়েছে কারন পদার্থের প্রতি-ফেরোচুম্বকত্ব ধর্মটি শুধু হিমাঙ্কের নিচেই কাজ করে।আশাকরি কেউ নিজের কম্পিউটারকে শুধু বেশি মেমোরির জন্য বরফের মধ্যে রেখে কাজ করতে চাইবেন না।তাই গবেষকরা আরও কিছু সময় চেয়েছেন আবিস্কারটিকে সাধারন তাপমাত্রায় ব্যবহার উপযোগি করার জন্য।তবে তারা এও বলেছেন হয়ত অনুর সংখ্যা আরও কিছু বাড়িয়ে দিয়ে কিছুদিনের মধ্যই আবিস্কারটিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ব্যবহার উপযোগি করা যেতে পারে।তাতেই বা মন্দকি,কয়েক লক্ষগুন না হয়ে কয়েক হাজার গুন হলেও আমারা আমাদের কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য কয়েক লক্ষ গীগা-বাইট মেমোরি ডিস্ক পেয়ে যাব এবং মোবাইলেই কয়েক হাজার গীগা-বাইটের মেমোরি পাব।

লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?