মহাবিশ্বে এলিয়েনের সম্ভাব্যতা, বিজ্ঞানিদের মতবাদ এবং তাদের খুজে বের করার প্রচেষ্টা

আমাদের মহাবিশ্বে,আমাদের পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে বিজ্ঞানিদের মাথাব্যাথার অন্ত নেই।মাথা-ব্যাথার পরিমানটা এতটাই বেশি যে সেই ১৯৭০ সালে বিজ্ঞানিরা বিলিয়ান বিলিয়ান ডলার খরচ করে ভয়েযার-১ নামক একটি মহাকাশ যান বানিয়ে,তাতে পৃথিবীর মোটামুটি সকল ভাষায় শুভেচ্ছা বাণী রেকর্ড করে মহাকাশে পাঠিয়ে দিয়েছেন।এখনও মহাকাশ যানটি মহাকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে যদি বা কোন এলিয়েনের নজরে পড়ে যায়,তবে মোটামুটি পৃথিবীর সকল ভাষার শুভেচ্ছা শুনিয়ে দিতে পারবে। তবে এলিয়েন বা অন্য গ্রহে প্রাণের ব্যাপারে বেশির ভাগ বিজ্ঞানিই মোটামুটি মনে করেন যে সেসব গ্রহেই প্রাণ থাকতে পারে যাদের পৃথিবীর মত পরিবেশ আছে।তাই তারা পৃথিবীর বাইরের গ্রহ গুলোতে অক্সিজেন বা তরল পানি বা কার্বন যৌগ কার্বহাইড্রেট খুজে থাকেন প্রাণের সম্ভাবতার জন্য।কিন্তু কিছু কিছু বিজ্ঞানি আবার ভিন্ন মত পোষন করে থাকেন।এমনই একজন বিখ্যাত স্পেস বিজ্ঞানি হলেন ইউরোপের অস্ট্রিয়াম নামক স্পেস কম্পানিতে কর্মরত ব্রিটিস বিজ্ঞানি ড.ম্যাগী অলড্রিন-পোকক (তার সম্পর্কে এখানে লিখা আছে)।এলিয়েন সম্পর্কে তার ধারনা হলো মহাবিশ্বে জেলিফিসের মত বুদ্ধিমান এলিয়েন থাকতে পারে যারা আমাদের মত মোটেই কার্ব-হাইড্রেট দিয়ে গঠিত নয়।এসব এলিয়েনের DNA  সিলিকনের মত পদার্থ দিয়ে গঠিত, অথবা হতে পারে এসব এলিয়েনের আদৌ কোন DNA  নেই। এসব সিলিকনের এলিয়েনের গঠন আমাদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা হয়ত মিথেন গ্যাসের তৈরি বায়ুমন্ডলে বেঁচে আছে।তার ধারনাটার পক্ষে অবশ্য ভাল যুক্তি আছে।সিলিকন পর্যায় সারণিতে ঠিক কার্বনের নিচে অবস্থিত।সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন কথা সিলিকন কার্বনের ন্যায় মোটামুটি একই রাসায়নিক ধর্ম প্রদর্শন করে,কার্বনের ন্যায় যৌগ গঠন করে।আর আমাদের মহাবিশ্বে কার্বনের ন্যায় এর প্রাচুর্যও প্রচুর।তাই এত বিলিয়ান বিলিয়ান গ্রহের মধ্যে কোথাও না কোথাও সিলিকনের তৈরি প্রাণ সম্ভব।এখন ড.ম্যাগী অলড্রিন-পোকক এর মতে বর্তমানে আবিস্কার হওয়া গ্রহ গুলোকে বিবেচনা করলে, আমাদের গ্যালাক্সির মোট্টামুটি ৪টি গ্রহে এরকম সিলিকনের তৈরি বুদ্ধিমান প্রাণের সম্ভব।তবে এরকম এলিয়েনের উপস্থিতি থাকলেও আশা করে থাকবেন না এসব এলিয়েন পৃথিবীতে এসে আমাদের সাথে দেখা করে যাবে।কারন ড.ম্যাগী অলড্রিন-পোকক এর মতে যেহেতু এদের গঠন আমাদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে,তাই আমাদের পরিবেশে এদের বাচা সম্ভব হবেনা।আর আমারা যে যান পাঠিয়ে তাদের খুজেবের করব তার সম্ভাবনাও কম।কারন ৪২বছর আগে এই কাজে পাঠানো ভয়েযার-১ অনেক কষ্টে অবষেসে আমাদের সৌরজগত এর শেষ সীমানায় পৌঁচেছে।আর আমাদের পার্শ্ববর্তি সৌরজগতে যেতে তার আরও ৭৬০০০ বছর লাগবে।তারপরও শুধু আশাই করা যায় কোন না কোন প্রাণি একদিন আমাদের পাঠানো শুভেচ্ছা বাণী গুলো পাবে।তবে আমার মনে হয় সমস্যাটা হলো তারা পেলেও এগুলি বুঝবে কিভাবে?বিজ্ঞানিদের কাজ বুঝা আসলেই কষ্টকর।

লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?