মঙ্গলে প্রানের অস্তিত্ব!!!?

আমরা যতই আশা  করি আর তল্লাশি করি না কেন, আমাদের বাসভূমি পৃথিবী ছাড়া অন্য কোন গ্রহে এখনো কোন প্রাণের স্পন্দন পাওয়া যায়নি। কিন্তু যদি বলি মঙ্গলে প্রান আছে তাহলে কেমন শোনাবে?

ভাইকিং মহাকাশযান মঙ্গলে কার্বন-১৪ মেশাচ্ছে

 

যাই হোক,গল্পটা পুরনো হলেও অনেকের অজানা  আর অনেক বেশি বির্তিকিত।১৯৭৬ সালের ২০ জুলাই মহাকাশযান “ভাইকিং” মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে কিছু মাটি খুড়ে তার সঙ্গে কার্বন-১৪ লেবেলযুক্ত কিছু পুষ্টিবস্তু মেশায়। উদ্দেশ্য যদি কোন প্রকার প্রান এ গ্রহের বুকে থেকে থাকে তবে তা এগুলো মেটাবলিজম করবে।আর আমরা বুঝতে পারব  এ গ্রহে প্রান আছে কিনা।ভাইকিং এর রিপোর্টে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেল।কোন কিছু এই পুষ্টিকে গ্রহণ করছে, বিপাকন(Metabolism)ঘটাচ্ছে এরপর কার্বন-১৪ যুক্ত গ্যাস নির্গত করছে। অতএব মঙ্গলের বুকে প্রাণের অস্তিত্ব অবশ্যই আছে।সবই ঠিক আছে,তাহলে মঙ্গলের বুকে প্রাণের কোন চিহ্ন নেই কেন?এর একটি কারন এরকম হতে পারে যে ,কারন আর একটি যন্ত্র , যেটা কিনা প্রান ধারনের জন্য  অপরিহার্য অনু(Organic Molicule)সনাক্তকরনের কাজে ব্যাবহার করা হয়, সেটির রিপোর্টে কিছু খুজে পাওয়া যায়নি। বীজ্ঞানিরা  একমত হয়েছেন যে ভাইকিং রিপোর্ট একটি ভূয়া “পজিটিভ”। তবে নাসা-এর সর্বশেষ  “রোভার” মহাকাশযান প্রদত্ত ফলাফলে  দেখা গেছে যে ,অতীতে  কোন একসময়  মঙ্গল পৃষ্ঠ ভেজা ছিল। অতএব এর প্রান না থাকলেও এটি প্রান ধারনের উপযোগী। বিজ্ঞানী গিলবার্ট বলেন যে,  মঙ্গল পৃষ্ঠে একসময় প্রাণের অস্তিত্ত ছিল। আবার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক “জো মিলার”  মিশন থেকে পাওয়া বিবিধ উপাৎ পুনঃবিশ্লেষণ করে জানিয়াছেন যে, মঙ্গলপৃষ্টে “সার্কোডিয়ান সাইকেল,(একটি জৈবিক প্রক্রিয়া, যা ২৪ ঘন্টা পরপর নিয়মিত ঘটতে থাকে) ছিল। যা মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্তের একটা জোরালো সমর্থন যোগায়।গিলবার্ট ‘নাসা’ এর কাছে আবেদন জানিয়াছেন তাকে আর একটি মহাকাশ অভিযানের সুযোগ দেওয়ার জন্য। উদ্দেশ্য ,সেখানে কাইরাল(chiral) অনুর সন্ধান করা।কাইরাল অনু হল কার্বনের এক বিশেষ ধরনের অনু। এরা Optical Isomerism Show করে। এরা একে অপরের Minor Image বা প্রতিচ্ছবি। কিন্তু আসল ব্যাপারটা হল বায়োলজিক্যাল প্রক্রিয়ায় এমন অনু সৃষ্টি হয়, যেগুলো একটি আরেকটির উপর প্রাধান্য বিস্তার করে। আরা প্রানহীন প্রক্রিয়ায় তা না ঘটে ,সমান সমান সংখক বাম হাতি ও দান হাতি অনু সৃষ্টি করে।সুতুরাং মঙ্গলের পরর্বতি মিশনে যদি দেখা যায় যে এখানে প্রধান বিস্তারকারী কাইরাল-অনু আছে তাহলে আর সন্ধেহের অবকাশ থাকবে না যে, মঙ্গলে প্রান আছে। কেননা শুধুমাত্র প্রানের উপস্থিতিতে ই এরকম কাইরাল অনু সৃষ্টি হওয়া সম্ভব।

[plulz_social_like width="350" send="false" font="arial" action="like" layout="standard" faces="false" ]


লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?