ভবিষ্যত প্রযুক্তি,মোবাইলের মাধ্যমেই বিভিন্ন দূরের বস্তু ধরতে পারবেন

কেমন হতে পারে আমাদের ভবিষ্যত প্রযুক্তি।আই.বি.এম এর গবেষকরা সাধারনত প্রতি বছর ভবিষ্যত প্রযুক্তি গুলোনিয়ে ভবিষ্যতবাণী করে থাকেন।তবে তারা নিকট ভবিষ্যত নিয়েই ভবিষ্যতবাণী করেন।তারা এমন পাঁচটি ভবিষ্যত প্রযুক্তির কথা বলে থাকেন যেগুলো পাঁচ বছরের মধ্যেই আমাদের জীবন সম্পূর্ণ বদলে দিবে।এটা আই.বি.এম. ৫*৫ আর্টিকেল নামেও পরিচিত।এবারের পাঁচটি ভবিষ্যতবাণীর মধ্যে একটি হল,আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে বাজার করতে পারব, পন্যর গঠনটা বুঝতে পারব,পন্যটি ধরতে পারব।অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এটা কিভাবে সম্ভব?আসলে পন্যটির গঠন অনুভূতি পাওয়া মানেই পন্যটি নিজ হাতে ধরা হবেনা।আপানাকে শুধু ভায়ব্রেশন এর মাধ্যমে আপনার ফোনের স্ক্রিন বস্তুটির অনুভূতি দিবে। মনে করুন আপনি পন্যটি নিজ হাতে ধরে একটি সিল্কের জামা কিনতে চাচ্ছেন।দোকানী জামাটার ছবি তুলে আপলোড করবে।তারপর আপনার ফোন ছবিটি একটি ডাটাবেসের সাথে মিলিয়ে দেখবে।ডাটাবেসটি হবে এমন একটি ডাটাবেস যেখানে সবরকম বস্তুর জন্য আলাদা আলাদা ভায়ব্রেশন জমা করা থাকবে।সে সিল্কের ছবির জন্য সিল্কের ভায়ব্রেশন আপনার ফোনকে জানাবে।অতঃপর আপনার ফোনের স্ক্রিন আপনার আঙ্গুলে সে ভায়ব্রেশন দিবে,আর মস্তিস্ক ধরে নিবে আপনি আঙ্গুল দিয়ে সিল্ক ধরছেন।ব্যবহারের সাথে সাথে যখন মানুষ ডাটাবেসটি বুঝতে থাকবে তখন এটি আরও সমৃদ্ধ হতে থাকবে।যেমন একসময় হয়ত সিল্কের বিভিন্ন প্রকারের জন্য আলাদা আলাদা ভায়ব্রেশন থাকবে।এর মানে আপনি শুধু ঘরে বসে কোনটি কোন প্রকারের বস্তু,এটি অন্য একই জাতীয় বস্তু থেকে ভালোনা খারাপ,কোন সবজি ভাল না খারাপ,ফল পাঁকা না কাচা সব বুঝতে পারবেন।এই ভবিষ্যত প্রযুক্তিটি আসলে তা যে শুধু কেনা বেচার জন্যই ব্যবহার হবে তা কিন্তু নয়।যেমন এটা কৃষী ক্ষেত্রেও ব্যবহার হতে পারে।একজন কৃষক নিজ ফসলের গুনাগুন এর মাধ্যমে বুঝতে পারেবেন।এটা চিকিতসা ক্ষেত্রেও ব্যবহার হতে পারে।একজন রোগি নিজের আঘাতের ছবি ডাক্তারকে পাঠালে তিনি নিজে আঘাতটার অনুভূতি নিয়ে চিকিতসা করতে পারবেন।মানে এরকম একটি আবিস্কার বাস্তবিকভাবেই আমাদের জীবন সম্পূর্ণভাবে পাল্টে দিবে।
আর্টিকেলটি নেয়া হয়েছে এখান"smart future technology"

লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?