এই প্রথম NASA খুজে পেল বসবাস উপযোগী গ্রহ !

অ্যামেরিকার জাতীয় মহাকাশ সংস্থা "NASA" -এর গ্রহ অনুসন্ধানী মিশন "কেপলার" আমাদের পৃথিবীর মত আকার আকৃতির ও সমপরিবেশের , এক কথার বলতে গেলে প্রানের বসবাস উপযোগী গ্রহের খোঁজ করে।সম্প্রতি "নাসার" কেপলার মিশন এই প্রথম "কেপলার-২২ b" নামের গ্রহটিকে বসবাসের উপযোগী  গ্রহ বলে নিশ্চিত করেছে।কষ্টের বিষয় গ্রহটি আমাদের থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে।তার মানে সেখান থেকে আলোরই ঘুরে আসতে লাগবে ১২০০ বৎসর।

নাসার এই মিশন এ পর্যন্ত প্রায় ২৩২৬ টি গ্রহের সন্ধান পেয়েছে।যার ২০৭ টি প্রায় পৃথিবীর সমান।এবং ৬৮০ টি আকারের দিক থেকে পৃথিবীর খুব কছাকাছি( ১.২৫-২ গুন )।১১৮১ টি নেপচুন এর সমান, ২৩০ টি জুপিটারের (বৃহস্পতি) সমান,৫৫ টি  জুপিটার থেকে বড়।এর মধ্যে ৪৮ টি গ্রহে বসবাসযোগ্য এলাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।সেগুলিকে বিজ্ঞানীরা সোনালী সম্ভবনাময় বলেছেন কারন এগুলিতে তাপমাত্রা ও বায়ুর চাপ খুব বেশিও না আবার খুব কমও না।সবচে মজার খবর হল এগুলিতে তরল পানি প্রবাহের মত অবস্থা আছে।কেপলারের মুল বিজ্ঞানী দলের সভাপতি নাতালি বাতালহা বলেছেনঃ- "আমরা বিশ্বাস করি আমাদের কিছু পৃথিবীর সমান মাপের ও বসবাস যোগ্য গ্রহ আছে।আর আরও কিছু আছে যেগুলোকে এ তালিকায় যুক্ত করার জন্য পরবর্তীতে আমাদের কিছু মাপঝোঁক করার দরকার রয়েছে"।বাতালহা আরও বলেছেনঃ- "এই গ্রহটি প্রধানত দুটি কারনে অত্যন্ত উত্তেজনাকর।প্রথমত,এটীতে বসবাস যোগ্য অঞ্ছল রয়েছে এবং দ্বিতীয়ত এটি আমাদের সূর্যের মত একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিন করছে "।এটি ২৯০ দিনে তার সূর্যকে একবার প্রদক্ষিন করে।আর এর সূর্যটি "G-type"।গ্রহটির পাথুরে হবার ও পানি সমৃদ্ধ হবার একটি ভাল সম্ভবনা রয়েছে।কিন্তু এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এর ভর কত, তা মেপে বলা যাবে এর ঘনত্ব কত।আর টেন মিত্রি কেক টেলিস্কোপ পরিমাপ বা পৃষ্ঠভিত্তিক পর্যবেক্ষণে বের করা যাবে এর সূর্যটির বেগ কত।২০০৯ সালে প্রথম এটিকে দেখার পর এই প্রথম এটি সম্পর্কে এসব কথা নাসা প্রকাশ করেছে।তবে যাই ভাবেন না কেন, এত তারাতারি আমরা এই গ্রহে বাস করতে যাচ্ছি না। 😛

[plulz_social_like width="350" send="false" font="arial" action="like" layout="standard" faces="false" ]

 

লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?

1 COMMENT