মশার আক্রমন থেকে বাঁচতে মাছের অভিনব পদ্ধতি

 

মাছেরা মানুষের ঘুমের মতো করে না ঘুমালেও রাতের বেলায় নিষ্তেজভাবে থাকে-এটাই মাছদের ঘুম। বেশ কিছু মাছ (Parrot Fish) মুখ থেকে মিউকাস বের করে তাদের চারপাসে একধরনের জালির আবরণ তৈরী করে। বুদবুদ আকারে সেটা তাদের চারদিকে এমনভাবে ছড়িয়ে যায় যে অন্যান্য কিতপতঙ্গ তাদের দেখতে পায় না।

মিউকাসের তৈরি এই জালির ভেতরে মাছের ঘুমানোর দৃশ্য ডুবুরি এবং বিজ্ঞানীরা দেখে আসছেন অনেক দিন ধরেই। তবে এর কারন সম্পর্কে কিছু দিন আগ পর্যন্তও তারা জানতো না। মাত্র কিছু দিন আগে তারা এই জাল তৈরির কারন জানতে পারে।

parrotfish-zoom

রয়েল সোসাইটির একটি আর্টিকেলে প্রকাশ হলো- পানিতে দিনের বেলায় ছোট ছোট কিৎ পতঙ্গগুলোকে খেয়ে এবং ধাওয়া দিয়ে দূর করে। কিন্তু রাতের বেলায় মাছ এদের থেকে নিস্তার পায় না। আর তাই তারা রাতে ঘুমানোর আগে মিউকাস নিসৃত করে চারপাশে এমন একটি আবরন তৈরি করে যেটি ভেদ করে কিট-পতঙ্গ ঢুকতে পারে না। কুইনস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজীর গবেষকদের একই মতামত।

তাদের মতে মাছেরা খুবই ঘুম প্রিয়। দিনের আলো ফুরিয়ে যাবার সাথে সাথে এরা ঘুমাতে যায় এবং সকাল পর্যন্ত ঘুমায়। মিউকাসের তৈরি আবররনের ভেতর ঘুমানোর সময় মাছেরা একদমই নড়াচড়া করে না। এই জালির সামনের দিকে সামান্য একটু জায়গা খোলা থাকে যেটি দারা পানি প্রবেশ করতে পারে এবং এরা শ্বাস নিতে পারে। অনেক সময় জোড়া মাছ দুইজন এর থাকার উপযোগী মিউকাস নেট তৈরি করে।

মজার বেপার হলো মানুষ যেমন ঘুমের আগে শত্রু থেকে দূরে থাকার জন্য দরজা বন্ধ করে, মশারী টানিয়ে ঘুমায় তেমনি এই প্রজাতীর মাছও মশারীর মতোই একটি জাল তৈরী করে যার রাসায়নিক গুনাগুনও বেশ কিছু কিৎ পতঙ্গের হাত থেকে বাচায়। কেউ কেউ এটাকে পেষ্ট কন্ট্রোল বলে আক্ষায়ীত করেছেন।

তথ্যসূত্র: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?