প্রোটিয়াস-২৪৩৯

টুংটাং টুংটাং! খুব মৃদু একটা শব্দ । শব্দটা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে, কিন্তু মধুর থেকে মধুরতর হচ্ছে । ধীরে ধীরে চোখ খুলে আমার । ঘুম চলে যাচ্ছে, কিন্তু তীব্র ভালোলাগায় ছেঁয়ে যাচ্ছে শরীর, সজীব একটি অনুভূতি।

চোখ খুলেই আমি অবাক । আমি আমার বিছানায় নেই । নতুন একটি জায়গায় আমি । চারদিকে শুভ্র দেয়াল । দেয়ালে অনেকগুলো ডিজিটাল ফ্রেম ঝোলানো । ফ্রেমের ছবি একটু পর পর পরিবর্তিত হচ্ছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি দুপুর ৩:১৭, আর তারিখ ১৫/১০/৩০১১ !!

-Good Afternoon, স্যার মুসাইব । আমি রোবট সিলভার স্টোন । আপনি আমাকে সিলভা বলে ডাকতে পারেন । PROTEOUS-2439  এ আপনাকে স্বাগতম।

-Good Afternoon, সিলভার স্টোন । আমি এখানে কিভাবে?

-তার উত্তর আমি জানিনা স্যার । আমাদের কাউন্সিলর জানেন । উনার সাথে দু’ঘন্টা পরেই আপনার দেখা হবে । ততক্ষণে চলুন আমরা বাইরে ঘুরে দেখি, আর আস্তে আস্তে কাউন্সিলরের ভবনের দিকে এগিয়ে যাই ।

-চলো ।

বাইরে বের হয়েই চোখ জুড়িয়ে গেল । অত্যন্ত মনোরম একটি আবহাওয়া । কোথাও দূষণের কোন চিহ্ন নেই। চারদিকে সবুজের হাতছানি । ঝলমলে একটি দিন ।

সামনে এগিয়ে দেখি বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ । মাঠ ভর্তি নানান ধরণের ফসল । সব ধরণের সবজির চাষ হচ্ছে । অদ্ভুত ব্যাপার হল যে, একই সাথে সব ঋতুর সবজির চাষ হচ্ছে । ধারের ক্ষেতে দেখলাম কোথাও বীজ বপন করা হচ্ছে, কোথাও ধানের চারা গজিয়ে গেছে কিছুদিন পরেই ধান আসবে, আবার কোথাও পাকা ধান ধরে আছে। সেখান থেকে ধান কাটা হচ্ছে!!

সামনেই একটি ভবন। ভবনের পাশেই খোলা জায়গায় এক বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে কিছু বলছে আর অনেক যুবক-যুবতী সবুজ ঘাসে বসে মন দিয়ে তাঁর কথা শুনছে । ওদিকেই এগিয়ে যেতে লাগলাম । আমি যেতে যেতে সবাই উঠে দাঁড়াল এবং একেকজন একেক ক্ষেতের দিকে এগিয়ে গেল । বুঝতে পারলাম এরা ক্ষেতে কাজ করে থাকে ।

-ইনি ড. লজস ।–বলল সিলভার । আমাদের কৃষি ইনিস্টিটিউটের প্রধান । আর ড. ইনি হলেন জনাব মুসাইব ।

-ওয়েলকাম মি. মুসাইব । PROTEOUS এ আপনাকে স্বাগতম ।

-ধন্যবাদ স্যার ।

-কেমন লাগছে আপনার এখানে?

-খুব ভালো স্যার । কিন্তু অনেক অবাক হচ্ছি ।

-মৃদু হাসি খেলে গেল ড. এর মুখে । নিশ্চয় মনে অনেক প্রশ্ন?-বললেন তিনি ।

-হ্যাঁ স্যার। অনেক কিছু জানতে চাই ।

-অপেক্ষা করুন । এখন সব দেখে যান । প্রধান কাউন্সিলরের ভবনে সব জবাব পাবেন। আপনি এগিয়ে যান। পরে আবার দেখা হবে।

-ওকে স্যার। ধন্যবাদ আপনাকে।

যত দেখছি ততই অবাক হচ্ছি । একটু আগে সিলভা থেকে জানতে পারলাম ড. লজসের কথা যারা শুনছিল তারা সবাই কৃষি ইনিস্টিটিউট এর শিক্ষার্থী । এখানে কৃষি বিষয়ক উচ্চতর শিক্ষা দেয়া হয়। যারা এখানে শিক্ষার্থী তারাই মূলত কৃষি কাজ করে থাকে । তাদের সাহায্য করে থাকে কিছু রোবট । শিক্ষার্থীরা সবাই নিজের আনন্দে এখানে পড়ে এবং কাজ করে থাকে ।সব শুনে আমি গুম মেরে গেলাম । হাতে কলমে এমন শিক্ষা হতে পারে বলে কল্পনাও করিনি ।

সামনে এগিয়ে দেখলাম নদী । নদীতে মাছ চাষ করা হচ্ছে । এখানে মাছ চাষের ব্যাপারটিও বেশ অদ্ভুত । পুরো নদীই আসলে খামার । মাছ ছাড়া হয়না তেমন, প্রাকৃতিক ভাবেই মাছ উৎপাদিত হয়। এখানে প্রধানত দেখা হয় কিভাবে নদী দূষণ না হয় এবং নদীতে পর্যাপ্ত পরিমান মাছের খাবার এবং অন্যান্য উপাদান নিশ্চিত করা হয়, যাতে করে মাছের বংশবৃদ্ধি এবং বেড়ে উঠায় কোন সমস্যা না হয়।ৱ

এখানেও কাজ করছে মাৎস্য ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ।

-স্যার সামনে চলুন । সামনেই দেখবেন বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র । আমাদের সকল আধুনিক গবেষণা ওখানেই হয়ে থাকে ।

একটু এগোতেই দেখতে পেলাম অনেকগুলো অত্যাধুনিক ভবন । ভবনের সামনে দেখা হয়ে গেল বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রধানের সাথে ।

-হ্যালো মি. মুসাইব । বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে স্বাগতম । আমি ড. এলেক্স গ্রীমাল্ডি ।

-হ্যালো ড. এলেক্স । আপনাদের মাঝে এসে অন্যরকম লাগছে ।

-আপনাকে পেয়েও আমরা আনন্দিত। আসুন এদিকে ।

আমাদের হাতে দুই মগ করে কফি দিয়ে গেল একটি রোবট।

এখানে অনেকগুলো রুম । প্রত্যেক রুমে নানা ধরনের গবেষণা হচ্ছে । অনেক ছাত্র-ছাত্রী। হলোগ্রাফিক মনিটর চারদিকে । রয়েছে অনেকগুলো উন্নত প্রযুক্তি। একপাশে দেখলাম অনেকগুলো ছোট বাচ্চা। কয়েকটি মেয়ে তাদের হাতে কলমে বিজ্ঞানের নানা বিষয় বুঝাচ্ছে।

ড. এলেক্সের কাছে জানতে পারলাম যে, বিজ্ঞান এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব জায়গায় কাজ করছে রোবট । মৌলিক বলগুলো এখন একিভূত করা গেছে। মানুষ এখন গ্যালাক্সি থেকে গ্যালাক্সি ঘুরে বেড়াচ্ছে ।

মুগ্ধ হয়ে তার কথা শুনতে লাগলাম আমি…..

সূর্য প্রায় ডুবে যাচ্ছে । আমি দাড়িয়ে আছি একটি বিশাল ভবনের সামনে । হালকা আকাশি রঙের ভবনটির দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে তার ওপাশে মিশে গেছে নীল আকাশ । একটু আগে একটি এয়ার বাসে করে এখানে নেমেছি আমি । চালকবিহীন এয়ারবাসটিতে ছিল আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা । ওখানে বসে অনেক রকমের তথ্য জানতে পারি আমি । জানতে পারি আমি বর্তমানে যে গ্রহে তা পৃথিবী থেকে ১০ আলোক বর্ষ দূরে । আমি যে গ্যালাক্সিতে আছি তার নাম VERMILON। PROTEOUS-2439, প্লানেট NOAH এর একটি উপগ্রহ। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত গ্রহ-উপগ্রহের মাঝে পৃখিবীর বাইরে এটিই বসবাসের উপযোগী। আরও কিছু গ্রহে জীবনের হদিস পাওয়া গেলেও তা মানুষের বসবাসের উপযুক্ত নয়। PROTEOUS এর বায়ুমন্ডল পৃথিবী থেকে একটু শীতল হলেও চমৎকার। তাই মানুষ এখানে পাড়ি দেয়। কি কারণে মানুষ এই গ্রহে এসেছে তা জানতে পারলাম না, তার আগেই আমার যাত্রার অবসান হল।

আমি হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছি কাউন্সিলর ভবনের দিকে। সিলভা পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে এত হলোগ্রাফিক চিত্র যে বোঝার উপায় নেই আসলে কোনটি ছবি আর কোনটি বাস্তব। কেমন জানি অজানা ভয়ে বুক ধুকধুক করতে থাকে।

বিশাল একটি হলঘরে প্রবেশ করলাম। একটি বিশাল গোল টেবিল এখানে। চারদিকে অনেকগুলো অপরিচিত মুখের মাঝে ড. লজস আর ড. এলেক্স- কে দেখে সাহস পেলাম।

-এসো মুসাইব। বসো।( বললেন এক সাদা চুলের একজন মানুষ। বয়স ৭০-৮০ হবে)। আমি ড. মির গ্রীমো।

-ইনিই আমাদের কাউন্সিলর-বললেন ড. লজস।

আমি বসলাম একটি চেয়ারে। আমাদের সামনেই বিশাল একটি হলোগ্রাফিক মনিটর। মনিটরে নানান গ্যালাক্সির ছবি দেখানো হচ্ছে। এক সাইডে দেখানো হচ্চে একটি ধ্বংসপ্রায় গ্রহের নানান ছবি।

এই রুমে সব মিলিয়ে আছি আমরা ৬ জন মানুষ। ড. লজস, ড. এলেক্স, ড. গ্রীমো, আমি ,একজন মহিলা এবং আরেকজন প্রৌড়।

-আমি সহকারী কাউন্সিলর ডা. ফানুলী –বললেন মহিলাটি।

-আর আমি পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. পিটার নবোকভ। আমরা ৬ জন আপাতত উপগ্রহটির নানা কিছু নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। আমরা জানি আপনার মনে অনেক প্রশ্ন বিদ্যমান। আমরা আপনার উত্তর দিতে প্রস্তুত। আপনি আপনার প্রশ্নগুলো করতে পারেন।

-সত্যি বলতে আমি এখনো জানিনা আমি এখানে কিভাবে এলাম!

-আপনি এখানে এসেছেন নেপ্টার-২ মহাকাশ যানে চড়ে। এখানে টাইম এবং স্পেসের কিছু ব্যাপার আছে। আপনি পৃখিবীর ভবিষ্যত নিয়ে নানা গবেষণায় ব্যস্ত। তার মাঝে আপনি টাইম ট্রাভেল নিয়ে কিছু কাজ করছিলেন। আমরা আজ থেকে ৫ বছর আগে আপনার পাঠানো একটি সিগন্যাল পাই। কিন্তু তখন আমরা টাইম ট্রাভেল করতে পারতাম না। আমরা আপনার সিগন্যাল পাওয়ার পরে গবেষণা শুরু করি। আমাদের এই বিষয়ক গবেষক ড. শূণ্য এই বিষয়ে সফলতা লাভ করেন। আর আপনি হচ্ছেন অতীত খেকে ভবিষ্যতে আসা প্রথম মানুষ। ঘুমের মাঝে আপনাকে তুলে আনা হয়। আপনি ঢাকায় আপনার বাসায় ঘুমিয়েছিলেন। ওখান থেকে নিয়ে আসা হয় আপনাকে।

আমি হতবাক হয়ে তাদের কথা শুনতে লাগলাম। আমি সিগন্যাল নিয়ে বেশ কিছু কাজ করছিলাম। নিউট্রিনো কণিকার গতিবেগের উপর ভিত্তি করে কিছু কাজ করে থাকি। এর মাঝে একটু চেষ্টা করেছিলাম যে ভবিষ্যতে কোন ডাটা পাঠানো যায় কিনা এটি নিয়ে। আমি এতে কোন সফলতা না পেয়ে পরে অন্য প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাই। পৃথিবীতে আমি নাসাতে হিউম্যন নিউরোন সিস্টেম নিয়ে একটি প্রজেক্টের প্রধান। ওনাদের কথা শুনে হতবাক হয়ে গেলাম। আমি পাগল কিনা বুঝার চেষ্টা করলাম ।

আমার দিকে এগিয়ে এলেন ডা. ফালুনি । বললেন আপনি আমাদের কথায় হয়তো অবাক হচ্ছেন, কিন্তু এসবই বাস্তব ।

-এই উপগ্রহে আমরা আজ প্রায় ৫০০ বছর ধরে আছি। এখানে হানাহানি বলে কিছুই নেই। এখানে মানুষ টিকে আছে পরিবেশের সাথে যুদ্ধ করে । মানুষের একমাত্র প্রতিপক্ষ পরিবেশ এখানে । এখানে সব মানুষই সমান । প্রত্যেকটি মানুষই এক একজন বিজ্ঞানী । শিক্ষা, চিকিৎসায় আমরা অনেক এগিয়ে আজ । আপনি হয়ত দেখেছেন এখানে শিক্ষার্থীরাই কৃষিকাজে লিপ্ত, মাছ চাষ করছে শিক্ষার্থীরাই । শুধু তাই নয় সকল কাজে আজ শিক্ষার্থীরা জড়িত । এখানে তত্ত্বীয় জ্ঞানের বাইরে ব্যবহারিক জ্ঞানকে মূল্য দেয়া হয় । কেউ এখানে চাকুরি কিংবা টাকা আয়ের জন্য লেখাপড়া করে না । এখানের লেখাপড়া করা হয় নিজেদের উন্নয়ন এবং জানার জন্য । যার যতটুকু দরকার সব কাউন্সিল থেকেই দেয়া হয় ।

-আপনাদের এখানে মানুষ এত কম কেন?

-আমাদের লোকসংখ্যা মাত্র ৩০০০০ এর মত। সত্যি বলতে সারা মহাকাশে এই সংখ্যক মানুষই অবশিষ্ট আছে ।

আমি চমকে উঠলাম । পৃথিবীতে প্রায় ৬০০ কোটি মানুষ ছিল । কোথায় গেল তারা!

-আপনি কি ভাবছেন আমরা বুঝতে পারছি । বললেন ডা. পিটার । আমরা এই উপগ্রহ আবিষ্কার করি ২৪৩৯ সালে । তাই এর নামকরণ করা হয় PROTEOUS-2439 । ড. বোরিস নিকিটিন এই উপগ্রহ আবিষ্কার করেন । তখন মানুষ পৃথিবীতে থাকত । জ্ঞান-বিজ্ঞান অনেক দূর এগিয়ে যায় দ্বাবিংশ শতাব্দীতে। কিন্তু বাড়তে থাকে মানুষের ক্ষমতার লোভ, দুর্নীতি, আগ্রাসী মনোভাব। নানা দেশে দেখা যায় চরম মন্দা, সাথে অরাজকতা । এক সময় এটি পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে । বাজার সম্প্রসারণ নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব ।২০৬৮ সালে ৩য় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ অবস্থা দেখে আর যুদ্ধ হবেনা এই ধারণা ভেঙে যায় দ্বাবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে । শুরু হয় এক মহাযুদ্ধের বেড়ে উঠা ।

-বোরিস নিকিটিন এই উপগ্রহ আবিষ্কারের পর থেকে এখানে থাকা যায় কিনা তা ভাবতে থাকে মানুষ ।আর এর সাথে চলতে থাকে ছোটখাট যুদ্ধ । ২৫০০ শতাব্দীতে শুরু হয় পৃথিবীর সর্বশেষ মহাযুদ্ধ । ২৫২০ সালের দিকে নাসার একদল গবেষকের নেতৃত্বে, পৃথিবীর প্রায় ২০০ জনের একটি দল যাতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পরিবেশবিদ এবং নানা মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ছিল তারা এই উপগ্রহে পাড়ি জমায়।–বললের ড. গ্রীমো ।

-এই উপগ্রহের রূপকার অর্থাৎ যার নেতৃত্বে মানুষ এখানে আসে তিনি হলেন ড. জর্জ জুকভ । তিনিই প্রথম কাউন্সিলর ছিলেন ।

-এরপর ২৬০০ সালের দিকে পৃথিবী একদম ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় । হলোগ্রাফিক চিত্রে দেখা গেল পৃথিবীর ধ্বংসের কিছু চিহ্ন । পারমানবিক বোমার কারণে সব শেষ হয়ে যায়। পৃথিবী পরিণত হয় বসবাসের অনুপযোগী একটি গ্রহে । আর সেই থেকে এই PROTEOUS-2439-ই আমাদের একমাত্র আবাসস্থল ।–বললেন ড. লজস ।

ওনাদের কথা শুনে আমি কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম । চিবুকে টের পেলাম গরম জলের ছোঁয়া । আপনাকে এখন যেতে হবে ড.মুসাইব । আবছাভাবে শুনতে পেলাম এই কথাগুলো,যেন অনেক দূর থেকে আসছে ।

---আশেপাশের জগত যেন দুলছে ।মুখে হাত দিয়ে দেখি চোখ থেকে পানি পড়ছে । মা আমাকে ডাকতেছে। মুসাইব উঠ, ভূমিকম্প হচ্ছে । রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৬.০০। আমি এখনো ঘোরের মাঝে আছি। একটু আগে স্বপ্ন দেখলাম না সত্যি তা নিয়ে পড়ে গেলাম চরম অনিশ্চয়তায় । দুলতে দুলতে বের হলাম ঘর থেকে। সবাই ছোটাছোটি করছে । আমি হতবিহ্বল হয়ে ভাবতে লাগলাম-- “এটিতো সামান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অদূরেই যে অপেক্ষা করছে মানব সৃষ্ট ভয়াবহ দূর্যোগ”।

লিখাটি নিয়ে আপনার অভিমত কি?