আজ বিশ্ব পাই (Pi) দিবস। Pi (π) দিবস বিশ্বব্যাপী গণিতপ্রেমীরা ১৪ মার্চ পালন করে থাকে।( month/day date format অনুযায়ী 3/14 তারিখ) Pi এর মান সাধারণত 3.14 ব্যবহার করার কারণেই এই ধারণাটি এসেছে। পদার্থবিদ ল্যারি শ’ ১৯৮৮ সালে ‘পাই দিবস’ এর ধারণার প্রবর্তন করেন। ২০০৯ সালে ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ মার্চকে ‘পাই দিবস’ হিসেবে পালনের অনুমোদন দেন।
পাই (Pi) প্রতীক দ্বারা যেকোন বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতকে প্রকাশ করা হয়। তবে একইভাবে এটি বৃত্তের ক্ষেত্রফলের সঙ্গে এর ব্যাসার্ধের বর্গের অনুপাতের সমান। এটি একটি গাণিতিক ধ্রুবক। দশমিকের পর ট্রিলিয়নের (১ এর পর ১২টি শূন্য, 1012) বেশি ঘর পর্যন্ত পাই-এর মান বের করা হলেও সাধারণ কাজে দশমিকের পর ১২ ঘরের বেশি মান তেমন একটা প্রয়োজন হয় না। তবে সাধারণত এর মান ধরা হয়= ৩.১৪১৫৯। পা্ই(π) একটি অমূলদ সংখ্যা, মানে এইটিকে দুইটি পূর্ণসংখ্যার অনুপাত হিসেবে লেখা যাবে না। দশমিকের পরে এর মান কখনো শেষ হয় না বা এটি পুনরাবৃত্তিও করে না,অর্থাৎ এটি পৌণঃপুণিক সংখ্যা নয়। এই অসীম ধারাটি গণিতজ্ঞ ও সাধরণ মানুষকে যুগে যুগে চমৎকৃত করেছে।
উইলিয়াম জোনস সর্বপ্রথম ১৭০৬ সালে Pi প্রতীকটির প্রচলন করেন। তবে এই প্রতীকটিকে জনপ্রিয় করেন সুইস গণিতবিদ লিওনার্দো ইউলার। গণিত, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিদ্যার অনেক সূত্রে পাইয়ের ব্যবহার দেখা যায়। বৃত্তের ক্ষেত্রফল এবং সিলিণ্ডারের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্রে পাই(π)-এর ব্যবহারের সাথে আমরা সবাই-ই পরিচিত।